প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের কথা বলেছেন। কোন কোন বিষয়ে সংস্কার হবে সেটারও কিছু কিছু তিনি আভাস দিয়েছেন। আমি জানি, এগুলো অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব না। যাই হোক আমাদের প্রত্যাশা ভালোর দিকে যাক… এটা জনগণের প্রত্যাশা।
তবে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেখতে পাচ্ছিনা। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটা রোডম্যাপ দেবেন। আমরা গণতন্ত্রে উত্তরণের সেই রোডম্যাপ উনার বক্তব্যের মধ্যে পাইনি। ধোঁয়াশা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ‘কবে নির্বাচন হবে এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ – কিন্তু এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তো রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
আমি আশা করব, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা খুব দ্রুত সেই প্রক্রিয়াটির দিকে যাবেন এবং তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।
আমাদেরকে এখন অত্যন্ত ধৈর্য ধরে, সতর্কতার সঙ্গে পা বাড়াতে হবে। এই সরকার এসেছে, এই সরকার অবশ্যই কাজ করার জন্য এসেছে। সেই কাজ করার সুযোগ তাদেরকে দিতে হবে। এই কথা আমরা বার বার বলছি, যৌক্তিক সময় অবশ্যই তাদেরকে দিতে চাই।
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠ নির্বাচন হতেই হবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে যেন আগের মতো অবস্থা ফিরে না আসে। সেটা কখনই জনগণ মেনে নেবে না। সেজন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি, জনগণ অপেক্ষা করছে। কিন্তু সেটা অবশ্যই একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে যেন কেউ পুলিশি রাষ্ট্র বানাতে পারে সেই ব্যবস্থা ও নিতে হবে। আমরা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হতে চাই না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবে, প্রতিমুহূর্তে বলে দেবে যে, এটা করা যাবে, এটা করা যাবে না অথবা আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে আমাদের থেকে টাকা নেবে, আমাদের ছেলেদেরকে গুলি করবে… এটা আমরা আর দেখতে চাই না। এটা করতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। সবকিছুর পরে সুষ্ঠ একটি নির্বাচনের আয়োজনের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্টিত করতে হবে।
-জুনেদুল মান্না
মানবাধিকার কর্মী ও লেখক