৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করছি ও আহতদের প্রতি সমবেদনা। সারাদেশের সকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা। সকলের আত্মত্যাগের ফলেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ একটা অস্থির সময় পার করছে। লুটপাট, সহিংসতা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়নসহ জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। এখনো ফ্যাসিস্ট রেজিম সমূলে উৎপাটন করা হয়নি। জাতীয় স্বার্থে ও গণঅভ্যুত্থান রক্ষার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করাকেই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।
শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায় থেকে শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালন করছে। তাঁদেরকে সাধুবাদ জানাই। আশাকরি খুব দ্রুতই আইন শৃঙ্খলার পরিবেশ ও জনজীবনে নিরাপত্তা ফিরে আসবে।
আনন্দ উদযাপনের সময় এখনো আসেনি। শহীদের রক্ত ও লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের ফলে এই অর্জন। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি। আশা করি বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে তরুণ প্রজন্মের এই জেগে উঠা অব্যাহত থাকবে।
আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বিচারবিভাগে এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার শরিক বিচারপতিরা বিচরণ করছেন। আমরা শুনতে পেলাম, অভ্যুত্থানের আগে আমাদের যেভাবে আদালতের নামে টালবাহানা করা হত, ঠিক একই কায়দায় অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার সরকার ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলমান।
আমরা অচিরেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সক্রিয় শরিক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দের অপসারণ দাবি করছি। অনতিবিলম্বে দেশপ্রেমিক এবং জনগণের পক্ষের বিচারপতিদের উক্ত শুন্য পদসমূহে নিয়োগ করে দেশে ছাত্র-জনতার সরকার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুততর করা হোক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিচারবিভাগকে স্বাধীন ও কার্যকর ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পলিসি বাস্তবায়ন করার আহ্বান থাকবে। এছাড়াও দেশের সকল পর্যায়েই ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের পদত্যাগের ব্যবস্তা করতে হবে।
-সামছুল আলম জাবেদ
রাজনৈতিক ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী