সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে আলাদা মন্ত্রণালয়সহ আট দফা দাবি

দেশব্যাপি বিভিন্ন সমাবেশ থেকে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে তাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়সহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন নেতারা। আমিও একজন বাংলাদেশী হিসাবে তাদের এই ৮ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিলাম।

৮ দফা দাবি হলো –

১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।

৩. ‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে।

৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।

৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে।

৭. ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে।

৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।

কারো ভূলে গেলে চলবেনা যে এই দেশ শুধু কোনো সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমদের দেশ নয়। এই দেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, এটা কোনো ইসলামিক রিপাবলিক নয়।

-জুনেদুল মান্না
মানবাধিকার কর্মী ও লেখক

Scroll to Top