হিন্দু ধর্মের সাথে ‘হিন্দুত্ববাদ’ এর কোন সম্পর্ক নেই, যেমন নেই ‘ইহুদি’ (Jew) ধর্মের সাথে জায়নবাদীদের (zionist) সম্পর্ক। যেমন: নোয়াম চমস্কি একজন ইহুদী (Jew) যিনি গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ করেন, আর টিউলিপ সিদ্দিকী একজন জায়নবাদী (zionist) যে গাজায় ইসরাইলি হামলা সমর্থন করে। একইভাবে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন ‘হিন্দু’, যিনি গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ করেন, অন্যদিকে ছাত্রলীগ ‘হিন্দুত্ববাদী’, যারা রমজান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় হামলা করে; নওফেল একজন ‘হিন্দুত্ববাদী’, যে রাজনীতিতে সাফল্য পাওয়ার জন্য প্রকাশ্য জনসভায় হরিনাম জপ করে।
শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং গুলোতে গরুর গোস্ত নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। এখন কোরআন তেলাওয়াত নিষিদ্ধ, ইফতার নিষিদ্ধ! ইফতারে খেজুর খাওয়া সীমাবদ্ধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রমজান উপলক্ষে আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ হামলা করে রোজাদার শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত জখম করেছে!
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে গতকাল ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে ভারতীয় জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে রীতিমতো আনুষ্ঠানিকভাবে!
বৃষ্টি খাতুন জানতো ওই নাম নিয়ে তার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব না। সেই কারণেই তাকে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন এবং বানারসে কাল্পনিক হিন্দু বাবা-মার চরিত্র সৃষ্টি করতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন এমন বৃষ্টি খাতুনের সংখ্যা হাজারের বেশি।
জ্বী না, বাংলাদেশ আফগানিস্তান হচ্ছে না; বাংলাদেশে ধীরে ধীরে হিন্দুত্ববাদ কায়েম হচ্ছে।
-জুনেদুল মান্না
বিএনপি পন্থী রাজনীতিবিদ ও লেখক