আগষ্ট জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে মাত্র কয়েক মুহুর্তের একটা ঘটনায়। আবু সাঈদের শহীদি মৃত্যু। এই ভিডিওই লড়াইকে তার মঞ্জিলে পৌছে দিয়েছে। এই মৃত্যু এতোই মহীয়ান ছিলো যে বাংলাদেশের সব তরুণ আবু সাঈদ হতে চেয়েছে। সে বুলেটের সামনে নির্ভয়ে বুক পেতে দিয়েছে। এটাই তারুণ্যের ধর্ম। আবু সাঈদের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের তরুণ নয় সারা দুনিয়ার তারুণ্যের সামনে এক বিপ্লবী আদর্শ হয়ে থাকবে। এরপরে ১৮ জুলাইয়ের ঢাকার গণহত্যা পুরা জাতিকে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে ফেলেছে।
এই লড়াই অন্যভাবে শেষ হতে পারতো। হাসিনা ফুল কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারতো। পারে নাই। আর্মি যেন গুলি না ছুড়ে সেইটা নিশ্চিত করতে কাজ করছিলেন প্রফেসর ইউনুস। উনার এই স্টেপ ছিলো ডিসাইসিভ। সারা দুনিয়ায় এমন অসংখ্য ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিলো। যা হাসিনার পরাজয়কে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে।
হাসিনার জিঘাংসা তার পতনকে ত্বরান্বিত করেছে। হাসিনার বিদায়ে আরেক হাসিনা হইয়া উইঠেন না কেউ। ইতিহাস একটা বালুঘড়ির মতো। পাশার দান উলটে যায় একসময়। জিঘাংসা চরিতার্থ করতে গেলে আপনি আবার হাসিনার দলের পুনরাগমনকে সম্ভব করে তুলবেন। খুব হুশিয়ার।
-সামছুল আলম জাবেদ
রাজনৈতিক ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী