সকল ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মিলে মিশে আমাদের হিন্দু ভাই-বোনও এ দেশে বসবাস করতে চান। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তারা চান না। তাই যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত ৮ অগাস্ট ২০২৪ নতুন এই অন্তর্বর্তকালীন সরকার শপথ নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, মন্দির ভাঙচুর, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর সঙ্গে জড়িত সকল দুষ্কৃতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
অতীতেও এমন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নজির আছে। সংখ্যালঘুদের বিভিন্নভাবে দমন করার চেষ্টা করে একটি পক্ষ। তাদের মনে রাখতে হবে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের জন্য বাংলাদেশ নয়। সব ধর্মের মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এখানে সাম্প্রদায়িক কোনো সহিংসতা না হলে, তা হবে সকলের জন্য মঙ্গল।
বাংলাদেশ প্রথম স্বাধীনতা অৰ্জন করে ১৯৭১ সালে। তারপর স্বাধীন দেশে প্রায়ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। অথচ জন্মগতভাবে এসব সংখ্যালঘু সবাই বাঙালি। ২০২৪ সালে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করলাম। কিন্তু আজও আমার হিন্দু ভাই-বোনেরা স্বাধীনভাবে চলাচল ও বসবাস করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
নতুন এই সরকারের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বাচ্চা-কাচ্চা ও অপরিপক্ষ উপদেষ্টাদের নড়বড়ে এই সরকার যদি আমাদের দাবি-দাওয়া না মানতে পারে তাহলে আমার উপদেশ থাকবে তারা যেন একটি পরিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা দিয়ে তারা তাদের আগের সুদের ব্যবসায় ফেরত যায়।
-জুনেদুল মান্না
মানবাধিকার কর্মী ও লেখক