বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
দেখেছি এখনো কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে আছেন। অনেক শীর্ষ নেতারাও জেলে আছেন। কিন্তু কারও মধ্যে হতাশা দেখিনি, সবাই উজ্জীবিত। এমন অবস্থার পরও আমরা কেউ পিছিয়ে নেই। আরও উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যত অত্যাচার আসুক, নির্যাতন-নিপীড়ন আসুক, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান ভয়াবহ দানব সরকারকে পরাজিত করব। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।
যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। নিজের দেশকে মুক্ত ও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা প্রাণ দিয়েছেন। গত ২২ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যখন বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করে, তখন থেকে আমাদের ১৫ জন ভাই শহীদ হয়েছেন। তারা পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় শহীদ হয়েছেন। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বীরের মতো শহীদ হয়েছেন। কেউ পেছনে পালাতে গিয়ে নিহত হননি, শহীদ হননি। তারা বুক পেতে দিয়ে চলে গেছেন। তারা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা আরও ত্যাগ শিকারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন।
যুগে যুগে বড় কিছু অর্জন করতে গেলে এই আত্মত্যাগ করতে হয়। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, তখন লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। তখন অনেক পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছিল। আজকেও একটা দানবীয় শক্তি আমাদের সব অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা কেউ শান্তিতে নেই। এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, দেশের মানুষ যাকে মা বলে ডাকেন, সেই নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর বন্দি করে রেখেছে। যার কথায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন সংগ্রাম শুরু করেছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজকে বাংলাদেশ থেকে সুদূর ৮ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছেন। এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিমুহূর্তে তিনি কাজ করছেন।
-জুনেদুল মান্না
বিএনপি পন্থী রাজনীতিবিদ ও লেখক