বিএনপি’র নেতারা ইউটিউবারদের ভিডিও দেখে কিংবা কলামিস্টদের কলাম পড়ে নিজেদের পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজি ঠিক করে না। ‘বিদেশী প্রভূ’দের প্রেসক্রিপশন কিংবা পলিসি’র ভিত্তিতেও দলের সিদ্ধান্ত নেয় না। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করে, তাদের ইচ্ছা বোঝার জন্য সার্ভে করে। তারপর দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় স্থায়ী কমিটি পর্যন্ত নেতাদের সাথে আলোচনা করে।
জনগণের চাহিদার সাথে নিজেদের সামর্থের সমন্বয় করেই বিএনপি নিজেদের পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজি ঠিক করে। আর সেই কারণেই ভয়েস টাইপ করে বই মেলায় তিন কপি বই বিক্রি করে সাপের তাবিজ বিক্রেতা টাইপের সর্ব রোগ বিশেষজ্ঞের মত ফেসবুক, ইউটিউব বা পত্রিকায় কলাম লিখে সবজান্তা বিশেষজ্ঞরা বুঝতে ব্যর্থ হয়- “কেন বিএনপি’র কর্মসূচিতে এত সাধারণ মানুষ (ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, কৃষক, শ্রমিক) যোগ দেয়?”
বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি’র প্লান ‘এ’, প্ল্যান ‘বি’ এবং প্ল্যান ‘সি’ ছিলো, তিনটা প্লান ই ব্যবহার করা হয়েছে। ফলস্বরূপ বাংলাদেশের জনগণ আগামী নাটকবাজির ভোট ও বর্জনের মাধ্যমে বিএনপি ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে রেফারেন্ডাম দিবে। বিএনপি এটাই চেয়েছে, এটাই হবে।
তিনদিক দিয়ে ঘিরে রাখা একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের অন্ধ সমর্থন পাওয়া একটি আইডোলজিক্যাল (ফ্যাসিবাদী->নাজিবাদী->কিমবাদী->মুজিববাদী) ডিকটেটরকে যে ভোটের মাধ্যমে অপসারণ করা যায় না, সেটা না বুঝলে এতদিন কিসের প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করলেন, ভাই-বোনেরা?
তবে যদি কেউ গোয়েন্দা সংস্থার চাপে পড়ে পেটের দায়ে বিএনপি কে নিয়ে মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে কোন কথা নেই। সমালোচনা চালিয়ে যান।
-জুনেদুল মান্না
বিএনপি পন্থী রাজনীতিবিদ ও লেখক