পরাজয়ের নির্বাচন

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে ও সাহসিকতার সাথে যেভাবে ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, আমি তার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। প্রহসনমূলক তথা সহিংস এই নির্বাচনে অংশ না নিয়েও, সর্বজনীন বর্জনের মাধ্যমে আজ জাতির অর্থবহ বিজয় অর্জিত হয়েছে, যার গৌরব দেশের প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের।

নির্বাচনের নামে দেশজুড়ে যা ঘটেছে, আদৌ তা কোনো নির্বাচন নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার উপর ফ্যাসিবাদের ন্যাক্কারজনক আঘাত। বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করা সত্বেও — দেশের প্রতিটি আসন ও কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ যেভাবে সংঘবদ্ধভাবে কারচুপি, অনিয়ম, সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করেছে — একের পর এক যেসব ছবি, ভিডিও ও তথ্য আমরা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, তাতে এটিই পুনঃপ্রমাণিত হয় যে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

গণবিরোধী আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশের হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের দলকানা কর্মী-সমর্থক ছাড়া, দেশের ১২ কোটি ভোটারের প্রায় সকলেই একযোগে এই প্রহসনমূলক নির্বাচনকে বর্জন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের এই অবস্থান মূলত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিসমূহের চলমান সংগ্রামের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন, এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য গণদাবির সুদৃঢ় প্রতিফলন।

-তারেক রহমান
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

Scroll to Top